কীভাবে কেউ পাপমুক্ত হতে পারে?

প্রিয় বন্ধু, আমরা সবাই পাপী। কারন আমরা জন্মগত ভাবেই পূর্বপুরুষদের পাপের ভাগ নিয়েই জন্মগ্রহন করেছি। কারন সৃষ্টির শুরুতে আদিমানব বা প্রথম পুরুষ ও নারী ঈশ্বরের অনুগ্রহে অনেক শান্তিপূর্ণ ও আশীর্বাদের জিবনযাপন করছিলেন। কিন্তু তাঁরা শয়তানের প্রলোভনে ঈশ্বরের অবাধ্য হয়ে পাপ করে বসলেন, আর অভিশাপস্বরূপ তাদের সুন্দর জীবন হারালেন ও তাদের জীবন অশান্তি ও কষ্টে পরিপূর্ণ হল। আর সেই পাপ আমরা আমাদের জীবনে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। তাইতো আমাদের জীবনে এতো কষ্ট, হতাশা আর অশান্তি। বাইবেলে লেখা আছে যে, “পাপে আমার মাতা আমাকে গর্ভে ধারন করেছেন” আর এই পাপের কারনেই মুলত আমাদের জীবন দুঃখে কষ্টে জর্জরিত হয়ে যায়… কিন্তু আমরা অনেক ভাগ্যবান যে আমাদের স্রষ্টা যিনি সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন তিনি আমাদের অনেক ভালোবাসেন, তিনি আমাদের ক্ষমা করেন। কারন আমরা যেন পাপের ক্ষমা পাই এজন্য স্রষ্টা যুগে যুগে অনেক ভাববাদী/ নবী/ অবতার পাঠিয়েছেন।


 তাঁরা আমাদের কাছে স্রষ্টার পরিকল্পনা ও পথ শিক্ষা দিয়েছেন ও জানিয়েছেন। কিন্তু আমরা মানুষেরা তাদের কথা শুনি নি বরং তাদের অত্যাচার করেছি। অবশেষে স্রষ্টা তার সব থেকে প্রিয় সেই যীশুকে (ঈসা) এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন যেন তিনি আমাদের সঠিক পথে নিয়ে আসতে পারেন। তিনি আমাদের এতো ভালবাসলেন যে আমাদের সবার পাপের ভার তিনি নিজের কাধে তুলে নিলেন ও নিজের পবিত্র জীবন উৎসর্গ করলেন যেন আমরা পাপের শাস্তি থেকে ক্ষমা পাই ও বেঁচে যাই। মৃত্যুর তিন দিন পর তিনি আবার উঠলেন এবং বেহেশতে গেলেন কিন্তু আমাদের জন্য পবিত্র আত্মা পাঠিয়ে দিলেন যেন পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত সেই আত্মা আমাদের সাথে থাকেন ও সঠিক পথে পরিচালনা দেন। তাই যীশুর মধ্য দিয়েই আমরা পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারি এবং স্বর্গে স্রষ্টার কাছে যেতে পারি। কারন তিনিই একমাত্র পথ, সত্য ও জীবন।


 আপনি যদি আপনার পাপের জন্য সত্যিকারেই অনুতপ্ত হন এবং স্রষ্টার চরনে পাপ স্বীকার করেন, মোনাজাত করে ক্ষমা চান তাহলে তিনি আপনার হৃদয়ের অনুশোচনা দেখে ক্ষমা করবেন। তবে আপনাকে বিশ্বাসে প্া র্থনা করতে হবে।

এই আর্টিকেলটি কি সাহায্যকর ছিল?

Share by: