যীশু কে?

ঈশ্বর যিনি এই জগতের সৃষ্টিকর্তা ও সর্বশক্তিমান তিনি আমাদের সকল মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। নিজের মত করে আমাদের যত্ন করেছেন। এই পৃথিবীর উপর আমাদের অধিকার দিয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন মানুষ যেন তার বাধ্য থাকে এবং তার সেবা-আরাধনা করে। কিন্তু শয়তানের প্রলভনে পরে মানুষ পাপ করে বসল আর ঈশ্বরের কাছে থেকে দূরে সরে গেলো


আর এই পাপের জন্য মানুষের জীবনে আসলো সীমাহিন দুঃখ, কষ্ট, অশান্তি, রোগব্যাধি আর দুরাবস্থা।


ঈশ্বরের শাস্তি মানুষের উপর নেমে আসলো। কিন্তু ঈশ্বর তার সৃষ্টি কে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য একটি পরিকল্পনা করলেন। প্রথমে তিনি অনেক নবীকে জগতে পাঠালেন যেন নবীদের কথা শুনে মানুষ পাপ থেকে মন ফিরায়। কিন্তু তাতেও মানুষ মন ফিরাল না। তারপর মানুষের এই খারাপ অবস্থা দেখে ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঈসা নবী (যীশু) আসলেন মানুষের মুক্তির জন্য।পূর্বের বিভিন্ন নবীর কিতাবে তার আসার বিষয়ে ভবিষ্যৎ বানী লেখা আছে।



আর ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী যখন ঈসা নবী জগতে আসলেন, মানুষ তাকেও স্বীকার করতে চাইল না। মানুষ কতটা অন্ধ হয়ে গেলো যে ঈশ্বরের বাক্য পরেও তার অর্থ বুঝতে পারল না। তিনি স্পষ্ট বলেছেন , " ধন্য যারা তাকে বিশ্বাস করে, তারা অনন্ত জীবন পাবে, কখনো বিনষ্ট হবে না।"


যীশু কিন্তু মানুষ কে অনেক ভালবেসেছেন। মানুষকে পাপের পথ থেকে মন ফিরানোর জন্য অনেক অনেক শিক্ষা আর উপদেশ দিলেন। তার ভেতরে ঐশ্বরিক চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ছিল। তিনি কোন পাপ কিংবা রিপুর (এমনকি পারিবারিক বন্ধনেও আবদ্ধ হন নি )। তিনি বলেছিলেন যে তার সম্পর্কে যে ভবিষ্যৎ বানী নবীরা করে গেছেন তা পূর্ণ হবে।তাই তিনি মানুষের পাপের মুক্তির জন্য নিজের জীবন বলিদান করবেন। কারন কোন পশু কোরবানি তে মানুষের পাপ মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তাই তার নিজের জীবন দিয়ে তিনি আমাদের মুক্ত করলেন এবং বাইবেলে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি অনুসারে ঈশ্বর তাকে তিন দিন পর তাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন এবং তিনি অনেক দিন পর্যন্ত তার শিস্যদের সাথে দেখা করলেন, পরামর্শ দিলেন এবং সকলের সামনে ঈশ্বর তাকে সশরীরে তাকে আসমানে তুে নিলেন। 

এই আর্টিকেলটি কি সাহায্যকর ছিল?

Share by: